মানসম্মত শিক্ষাদানে ব্যর্থতার পেছনে প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ শিক্ষকের অভাবই মূল কারণ। আর খুব কম শিক্ষকই শিক্ষার্থীর নিজস্ব প্রয়োজন ও সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে পাঠদান করছেন।
এ গবেষণা প্রকাশ করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘স্কুলস নাও! ২০২৪’ সম্মেলনে। গবেষণায় বলা হয়, শিক্ষকদের মানোন্নয়নে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান ফিডব্যাক নিয়ে কাজ করতে পারে। ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লেসনভিত্তিক মানদণ্ড নির্ধারণ করতে পারে।
ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ শিক্ষক তৈরি এবং পাঠদানের গুণগত মান বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
গবেষণায় উঠে আসে, খুব কম শিক্ষক কাস্টমাইজড শিক্ষণ-শেখানো পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, যার ফলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব প্রয়োজন গুরুত্ব পায় না এবং শিক্ষার্থীর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এই সমস্যার সমাধানে ‘লার্নিং ডিফারেন্সিয়েশন’পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন ড. শিবানন্দ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষকদের উন্নয়নে মূল্যায়নের বিভিন্ন মানদণ্ড নির্ধারণ করে কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ড. শিবানন্দ বলেন, তার সহকর্মীদের মধ্যে অনেকেই এই মানদণ্ডে ৫ এর মধ্যে ৪.৫ পেয়েছেন (পাঠদান দক্ষতা) এবং এই দক্ষ শিক্ষকরা অন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য যোগ্য।
কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে ১২তম গ্রেডের শিক্ষকদের নিয়ে এই গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত করা হয়। ২০২০ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া এই গবেষণার জন্য প্রায় ২,৫০০ ক্লাসের (লেসন) তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।
https://slotbet.online/