কবিরহাট হাসপাতাল রোডে পপুলার মেডিকেল ইউনিট-২ তে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রির অভিযোগ।
আজ নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার চার নাম্বার ওয়ার্ডের ঘাটলা পুকুরের পাশে জাপানি ওয়ালার বাড়ির
জাহানারা বেগম শেফালী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ মহিলা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে ওই অসুস্থ মহিলাকে তার ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া দ্রুত কবিরহাট উপজেলা সরকারি হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নিয়ে আসেন।
সেখান থেকে ডাক্তার রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিছু ওষুধ দেন এবং বাইরে থেকে দ্রুত কিছু ওষুধ কিনার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেন।
তার ছেলে জিয়া ঔষধ কিনার জন্য কবিরহাট হাসপাতাল রোডের পপুলার মেডিকেল হল ইউনিট-২ তে গেলে তারা তাকে সেকলো-৪০ একটি মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন দিয়ে দেন।
যেটির মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং সালে এক্সপায়ার্ড হয়ে গেছে।
ইনজেকশন রোগীকে পুশ করার আগে প্যাকেটের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ দেখে কবিরহাট সরকারি হাসপাতালের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ইনজেকশনটি পুশ করেননি।
তাৎক্ষণিকভাবে জিয়া ইনজেকশনটি নিয়ে হাসপাতাল রোডের পপুলার মেডিকেলে আসেন এবং জানতে চান কেন তারা মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রি করেছে।
দোকানে থাকা বিক্রেতারা জিয়াকে জানিয়েছে এটা ভুলক্রমে হয়েছে।
এরপর তারা ইনজেকশনটি বদলে দেন।
জাহানারা বেগম শেফালির ছেলে মোঃ সোহাগ সৌদি আরব থেকে টেলিফোন করে জানান,
কবিরহাট উপজেলা হেডকোয়ার্টারের কবিরহাট পৌরবাজারের সবচাইতে বড় পাইকারি ঔষুধ বিক্রেতা পপুলার মেডিকেল হল এর মত একটা ফার্মেসিতে প্রশাসন ও আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?
আজ মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করলে হয়তো আমার মা মারাও যেতে পারত। ওষুধ তো এত ঠুনকো জিনিস নয় যে এক্সপায়ার ডেট না দেখে যেনতেন ভাবে বিক্রি করে দিতে পারে।
এটা তো একটা জীবন রক্ষাকারী উপাদান। ভাগ্যিস ডাক্তার চেক করায় আমরা বুঝতে পেরেছি যে এটা মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন, তা না হলে আজ বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত!
যারা এত সচেতন নয় বা লেখা পড়া জানেনা তাদের অবস্থাটা কি হবে?
সোহাগ এ বিষয়ে জেলার সিভিলসার্জন এবং কবিরহাট উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ে তদন্ত করে এর যথাযথ বিচার দাবি করেছেন।
কবিরহাট নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক।
সোমবার ৪ঠা মার্চ ২০২৪ইং, ৯:৫০ অপরাহ্ন।
https://slotbet.online/