সাধারণ মানুষ যাতে ভূমি সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভূমি সংক্রান্ত অনিয়ম দুর্নীতি রোধ, খাসজমি ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধ এবং এসব ক্ষেত্রে শূন্য সহনশীলতা নীতি অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার। ভূমির বিষয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হয় ডিসিদের ওপর। সেজন্য তাদের সরকারের নীতি বাস্তবায়নে অনুরোধ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় স্থানীয়ভাবে সরাসরি পরিদর্শনের মাধ্যমে জরদারি করবে। জনগণের কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ডিসি, এসিল্যান্ড ও ইউএনওরা তো আছেন।
মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতা বজার রাখার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিসিরা কতগুলো সুপারিশ করেছেন, খাসজমি নিয়ে। বলা হয়েছে খাস জমির বিষয়ে আইনের বাইরে কিছু হবে না। একই সঙ্গে তাদের সহযোগিতা করা হবে যাতে তারা সহজভাবে কাজ করতে পারে।’
ভূমি অপরাধ আইন নিয়ে কোনো ইস্যু আছে কিনা জানতে চাইলে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘ভূমি অপরাধ আইনের বিধির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই আইন হলে জনগণ উপকৃত হবে। ফলে কেউ দখলে থাকলে তিনি সুবিধা পাবেন না। কাগজই হবে শেষ কথা।’
ভূমিমন্ত্রী বলেন, একটা খতিয়ান থেকে কেউ হয়তো বের হয়ে গেছেন, ওই খতিয়ান ধরে অনেকে খাজনা দিতে পারছেন না। যারা বের হয়ে গেছেন তাদেরটা আলাদা করে এবং যারা বের হয়নি তাদের পৃথক খতিয়ান করে খাজনা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
রেকর্ড ডিজিটালাইজেশন না হওয়া পর্যন্ত সেবা গ্রহীতাদের ভূমি অফিসে যেতে হবে বলেও জানান ভূমিমন্ত্রী।
https://slotbet.online/