নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার দৃশ্য।
খালি পড়ে আছে মাঠ।
তীব্র শীতের কারণে মাঠ ছেড়ে বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে কৃষক।
ডেস্ক রিপোর্ট, কবিরহাট নিউজ।
১৪ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
১৮:৪৫ ঘন্টা
www.kabirhatnews.com
শীতের তীব্রতায় জনজীবন স্থবির! এখন ইরি বরো ধানের চারা রোপনের মৌসুম।
কবিরহাট উপজেলার কৃষকের জমি তৈরি হয়ে গেছে, বেশিরভাগ কৃষক জমিতে ধানের চারা রোপন শুরু করেছে,
কিন্তু আজকের শীতের তীব্রতায় মাঠে টিক থাকতে পারেনি কৃষক।
কবিরহাট এলাকায় দিনমজুরের অভাব, অনেক কৃষক চৌমুহনী, ফেনী দূর দূরান্তের বিভিন্ন শহর থেকে উত্তরবঙ্গের শ্রমিক এনেছে ধানের চারা রোপনের জন্য, তিন বেলা খাবার দিয়ে এদের বেতন সাত আটশত টাকা।
কিন্তু গত ২-৩ দিন সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না, কুয়াশায় ঢেকে আছে প্রকৃতি, শৈত্য প্রবাহের কারণে মাঠ ছেড়ে বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে দূর দূরান্ত থেকে আসা দিনমজুররা।
কারণ এই তীব্র শীত থেকে আগে নিজেকে রক্ষা করতে হবে, নিজের জীবন বাঁচাতে হবে।
এমন শীত গত ৪০ বছরেও কেউ দেখেনি বলে মন্তব্য করেছে প্রবীণরা।
ইতিমধ্যেই শীতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রায় ঘরে ঘরেই শুরু হয়েছে সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া ইত্যাদি ঠান্ডা জনিত রোগ।
সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা।
আজ বিকেল থেকেই রাস্তা,ঘাটে হাটে বাজারে মানুষজন কম দেখা যাচ্ছে।
আমাদের জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নোয়াখালী জেলার কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর, হাতিয়া, নোয়াখালী সদর, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজার এবং গ্রাম এলাকার পাড়া মহল্লায়, বাড়ির উঠোন রাস্তাঘাটে নারী পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশুরা খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী পুরো জানুয়ারি মাস শীত অব্যাহত থাকতে পারে।
আর এই তীব্র শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আরো এক সপ্তাহ।
এই তীব্র শীত থেকে শিশুদের নিরাপদে রাখার জন্য এবং শীতবাহিত রোগব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসকরা সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে।
কবিরহাট নিউজ।
https://slotbet.online/