কবিরহাট নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
১৫:৩০ অপরাহ্ন।
ভয়াবহ পতনের মুখে শেয়ার বাজার।
ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক লক্ষ বিনিয়োগকারী।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৭ কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে কোম্পানিগুলোর লেনদেন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো:
এসোসিয়েটেড অক্সিজেন,
ইন্দোবাংলা ফার্মা,
বিচ হ্যাচারি,
দেশ গার্মেন্টস,
অ্যাডভেন্ট ফার্মা,
খুলনা পাওয়ার,
প্যাসিফিক ডেনিমস,
ফরচুন সুজ,
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন,
ভিএফএস থ্রেড ডাইং,
শেফার্ড, এসকে ট্রিমস,
লুবরেফ বাংলাদেশ,
লিবরা ইনফিউশন,
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড,
ফনিক্স ফাইন্যান্স,
অলিম্পিক এক্সেসরিজ,
ন্যাশনাল টিউবস,
ন্যাশনাল ব্যাংক,
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ,
জিএসপি ফাইন্যান্স,
ফার কেমিক্যাল,
সেন্ট্রাল ফার্মা,
বিডি থাই,
বে লিজিং,
এটলাস বাংলাদেশ এবং আনলিমা ইয়ার্ন।
কোম্পানিগুলোকে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগারি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
জানা গেছে, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করায় এসব কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ডিএসই।
এর আগে গত ২০ মে এক নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি জানায়, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি শেষ ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ থেকে বা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে পরপর দুই বছরের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ডিএসইর নির্দেশনা মোতাবেক কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে।
তবে ফরচুন সুজ, বিচ হ্যাচারি, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, খুলনা পাওয়ার, প্যাসিফিক ডেনিমস, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনসহ আরও কয়েকটি কোম্পানি সর্বশেষ বছরেও ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
এসব কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কাছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণ না করায় জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কিন্তু দোষ করেছে কোম্পানির মালিকরা, শাস্তি পাবে বিনিয়োগকারীরা? এসব শেয়ার জেড গ্রুপে গেলে মালিকদের কী কোন অসুবিধা বা ক্ষতি হবে?
এর প্রভাবে আজ সূচক কমেছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট।
প্রায় ১০% করে দর পতন হয়েছে ২৯৭ টি কোম্পানির।
এতে করে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
তাহলে ডিএসইর ক্ষোভ কী কেবল বিনিয়োগকারীদের ওপর?
মালিকদের বিরুদ্ধে কী আইনী কোন ব্যাবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই?
অবশ্যই আছে।
কিন্তু তারা সে পথে খুব একটা যান না। কেবল বিনিয়োগকারীদের কতল করার পথে হাঁটতেই পছন্দ করেন।
আজ একদিনে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হলো বিনিয়োগকারীদের।
এভাবে বিনিয়োগকারীদের পথে না বসিযয়ে শেয়ারবাজার টা বন্ধ করে দিলেই ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
সূত্র. শেয়ার নিউজ 24.com
https://slotbet.online/