গত মাসের ২৬ তারিখ থেকে ইয়াসিন আরাফাত নিখোঁজ হয়েছে বলে কবিরহাট থানায় জিডির সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, নিখোঁজের তিনদিন পর এ ঘটনায় নিহত কিশোরের মা শাহানারা আক্তার কবিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির সূত্র ধরেই নিহত ইয়াসিন আরাফাতের চাচাতো ভাই আমির হোসেন (১৫) ও তার বন্ধু (কবিরহাট পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অজিউলার ছেলে) মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল আকিলকে (১৫) পুলিশ গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই হত্যার ১১ দিন পর আজ পুলিশ কবিররহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড বঙ্গের দিঘী এলাকা থেকে ভিকটিম ইয়াসিন আরাফাতের হাত পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রাপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, নিহত ইয়াসিন আরাফাতের সাথে কিছুদিন আগে তার চাচাতো ভাই আমির হোসেনের ঝগড়া হয়েছিল
সেই ঝগড়ার জের ধরে আমির হোসেন তার অপর বন্ধু ইব্রাহীম খলিল সহ তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৬ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার দিকে টিকটিক করার কথা বলে ভিকটিম ইয়াসিন আরাফাতকে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে হাতপাঁ বেঁধে মুখে কস্ট-টেপ পেঁচিয়ে হত্যা করে বঙ্গের দিঘীর পাশের খালের কচুরিপানার ভিতর লাশ পেলে দেয়।
আসামিদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে আজ ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে।
ছবি: তৌহিদুর আনোয়ার (আজিম)
সহ সম্পাদক,
কবিরহাট নিউজ।
www.kabirhatnews.com
https://slotbet.online/