নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বলির বাড়ির আবদুল হক ফকিরের ছেলে সাগরের স্ত্রী আজ বেলা আনুমানিক ১০টার দিকে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নাজমা আক্তারের দেশের বাড়ি ভোলা জেলায় সে তার পিতা মাতার সাথে চট্টগ্রামে বসবাস করত। বছর চারেক আগে পরিবারের সম্মতিতেই পেশায় গাড়ি চালক সাগরের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নাজমা কবিরহাটে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে। তাদের তিন বছর বয়সি একটি কন্যা শিশু রয়েছে। বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, নাজমা খুব শান্ত শিষ্ট অমায়িক মেয়ে ছিল। শশুরের পরিবারে কোন অশান্তি ছিলনা। আজ সকাল বেলা
শশুর ফকির মিয়া ও শাশুড়ি তাদের বাড়ির পাশের নিজেদের চা-দোকানে ছিল। নাজমা দোকানে গিয়ে শশুর থেকে চা নাস্তা নিয়ে আসেন। এর ঘন্টা খানেক পর নাজমার ফাসি দেওয়ার খবর জেনে তারা বাড়িতে এসে ঘরের ভিতর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। নিহতের পিতা জানায় আত্মহত্যার খবর পেয়ে তারা চট্টগ্রাম থেকে এসেছে, কিন্তু কেন আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে তাদের কোন ধারনা নেই। নিহতের স্বামী সাগর জানায় গত কয়েকদিন সে এলাকায় ছিলনা, স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আজ দুপুরে বাড়িতে এসেছে। সকাল বেলা স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা হয়েছে। কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে সাগর জানায়, গতকাল নাজমা তার বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। এবিষয়ে আমাকে বলার পর আমি কয়েকদিন পরে যেতে বলেছি। বাড়ির লোকজনের ধারনা স্বামীর সাথে বাপের বাড়ি যাওয়া বিষয়ে কথা কাটাকাটির জেরে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে নাজমা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট থানার ওসি হুমায়ুন কবির সাহেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার পর লাশের ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।