• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম ::

পৃথিবীর অস্তিত্ব যতদিন থাকবে ততদিন বেঁচে থাকুক ভালোবাসা!

রিপোর্টারের নাম / ১৩ বার
আপডেট সময় :: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ভ্যালেন্টাইন ডে’র গল্পটি শুরু হয় অত্যাচারী রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লাডিয়াস এবং খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে নিয়ে।

তৃতীয় শতকে সম্রাট ক্লাডিয়াস সমগ্র রোমানবাসীকে ১২জন দেব-দেবীর আরাধনা করার নির্দেশ দেন। সেসময় খ্রিস্টধর্ম প্রচার করা ছিলো কাঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এমনকি খ্রিস্টানদের সঙ্গে মেলামেশা করার জন্য শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো।

এদিকে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন খ্রিস্টধর্মের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। মৃত্যুর ভয়ে তিনি খ্রিস্টধর্ম পালনে পিছপা হননি।
কিন্তু সম্রাট ক্লাডিয়াস তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখলেন।

ভ্যালেন্টাইনের জীবনের শেষ সপ্তাহগুলোতে ঘটলো এক জাদুকরী ঘটনা।
তিনি যে কারাগারে বন্দি ছিলেন সেখানকার কারারক্ষী ভ্যালেন্টাইনের প্রজ্ঞা দেখে মুগ্ধ হন।
কারারক্ষী ভ্যালেন্টাইনকে জানান, তার মেয়ে জুলিয়া জন্মগতভাবেই অন্ধ, ভ্যালেন্টাইন যদি তাকে একটু পড়ালেখা করাতেন?

জুলিয়া চোখে দেখতে পেতেন না, কিন্তু তিনি ছিলেন খুব বুদ্ধিমতী। ভ্যালেন্টাইন জুলিয়াকে রোমের ইতিহাস পড়ে শোনাতেন, পাটিগণিত শেখাতেন। মুখে মুখে প্রকৃতির বর্ণনা ফুটিয়ে তুলতেন ও ঈশ্বর সম্পর্কে ধারনা দিতেন।

জুলিয়া ভ্যালেন্টাইনের চোখে দেখতেন অদেখা পৃথিবী। তিনি ভ্যালেন্টাইনের জ্ঞানকে বিশ্বাস করতেন, ভ্যালেন্টাইনের শান্ত প্রতিমূর্তি ছিলো জুলিয়ার শক্তি।

একদিন জুলিয়া ভ্যালেন্টাইনকে জিজ্ঞেস করেন;
ভ্যালেন্টাইন, সতিই কি ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শোনেন?
– হ্যাঁ, তিনি সবই শোনেন।

  • জানো, প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আমি কি প্রার্থনা করি? আমি প্রার্থনা করি, তোমার মুখ থেকে আমি যা যা শুনেছি তার সবই যেন আমি দু’চোখ ভরে দেখতে পাই!

ভ্যালেন্টাইন উত্তর দিলেন;
আমরা যদি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি তাহলে তিনি আমাদের জন্য যা ভালো তাই করেন।

এভাবে প্রার্থনা করতে করতে একদিন জুলিয়া ঠিকই তার দৃষ্টি ফিরে পেলেন!

কিন্তু সময় ঘনিয়ে এসেছে ভ্যালেন্টাইনের। ক্রদ্ধ ক্লাডিয়াস সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিন ধার্য করলেন।
দিনটি ছিলো ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২৭০ অব্দ।

মৃত্যুর আগের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন জুলিয়াকে একটি চিঠি লেখেন।
চিঠির শেষে লেখা ছিলো, ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন।

১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যু কার্যকর হল।
এবং তাকে রোমের প্রক্সিদেস গির্জার স্থলে সমাহিত করা হয়।

কথিত রয়েছে, ভ্যালেন্টাইনের কবরের কাছে জুলিয়া একটি গোলাপি ফুলে ভরা আমন্ড গাছ লাগান।

সেখান থেকে আমন্ড গাছ স্থায়ী প্রেম ও বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে উঠে।

পরবর্তীতে ৪৯৬ অব্দে পোপ প্রথম জেলাসিউস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে ঘোষণা করেন।

 

 

মিজানুর রহমান “কিরন”

কবিরহাট নিউজ, ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং।

 


☞ এ জাতীয় আরো খবর

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক : মিজানুর রহমান কিরণ।
সহ-সম্পাদক ও প্রকাশক : তৌহিদুল আনোয়ার আজিম।
নির্বাহী সম্পাদক : জাফর ইকবাল
বার্তা সম্পাদক : মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ।

https://slotbet.online/