• বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম ::
নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার চাপ্রাশির হাটের নাসির মোল্লার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর। বিদেশি মদ সহ বেগমগঞ্জ থানা এলাকা হতে পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ভূঁইয়ারহাটে সড়ক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ। কবিরহাটে নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পর কিশোরের হাতপা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার। সাকিব আল হাসানকে খেলোয়াড় হিসেবে যতটা নিরাপত্তা দেওয়া দরকার তা দেওয়া হবে। ভয়াবহ পতনের মুখে শেয়ার বাজার। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক লক্ষ বিনিয়োগকারী। শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আবার শুরু হচ্ছে সৃজনশীল পদ্ধতির পরীক্ষা। কেটে গেছে ২৭ দিন, শেখ হাসিনার হাতে আছে ১৮ দিন, অপশন মাত্র দুটি। নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলায় ব্যবসায়ী তারেক রহমান প্রতিদিন ৩ হাজার বন্যা দুর্গত মানুষকে খাওয়াচ্ছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সাহায্য করবে ওপেক ফান্ড।

নোয়াখালীর ঐতিহ্য নোয়াখালী খাল!

রিপোর্টারের নাম / ৩১ বার
আপডেট সময় :: শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট:কবিরহাট নিউজ। শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ইং, ১:০০ অপরাহ্ন। 


নোয়াখালীর ঐতিহ্য নোয়াখালী খাল!
যেই খালের নামের সাথে জড়িয়ে আছে নোয়াখালী জেলার নামকরণের ইতিহাস।

নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ভুলুয়া।
নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম ছিল সুধারাম।
ইতিহাসবিদদের মতে একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর জলে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবে ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়, যা পানির প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ি ও চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে।

এই বিশাল নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় নোয়া (নতুন) খাল বলা হত, এর ফলে অঞ্চলটি একসময়ে লোকের মুখেমুখে পরিবর্তিত হয়ে নোয়াখালী হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে।

মূলত নোয়াখালী জেলা ছিল একসময় কুমিল্লার একাংশ ফেনী লক্ষীপুর, হাতিয়া সহ একটি বিশাল এলাকা, যা বর্তমানে বৃহত্তর নোয়াখালী হিসেবে পরিচিত।

১৯৮৪ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলে লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা আলাদা হয়ে যায়।
তখন শুধুমাত্র নোয়াখালী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা পুনর্গঠিত হয়।

এই নোয়াখালী খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে নোয়াখালী জেলার কয়েকটি উপজেলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এক সময় এই এলাকায় বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হতো। কিন্তু খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে জলাবদ্ধতার কারণে বছরে একবারের বেশী ফসল উৎপাদন হয়না।

এই নোয়াখালী কে জলাবদ্ধতা মুক্ত করার জন্য ২০১৬ সালের দিগে নোয়াখালী জেলার কবিরহাটের কৃতি সন্তান ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র জনাব আনিসুল হকের উদ্যোগে জননেতাও ওবায়দুল কাদেরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৪০০ বছর পর ভরাট হয়ে যাওয়া এই খালটি খনন করার উদ্যোগ নেয়।
সুইজগেট নির্মাণ সহ এই প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান।
কিন্তু খাল খননের পর দেখা যাচ্ছে পাড় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, শুরু হয়েছে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা অসাধু ব্যক্তিদের অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন ও মাটি কাটা।

এই খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মাটিকাটা, খালের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করা এবং পাড় ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নোয়াখালীর ঐতিহ্য নোয়াখালী খালকে রক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন নোয়াখালীর বিশিষ্টজনরা।

এলাকার মানুষের চাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

— নিজস্ব প্রতিবেদক, কবিরহাট নিউজ।


☞ এ জাতীয় আরো খবর

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক : মিজানুর রহমান কিরণ।
সহ-সম্পাদক ও প্রকাশক : তৌহিদুল আনোয়ার আজিম।
নির্বাহী সম্পাদক : জাফর ইকবাল
বার্তা সম্পাদক : মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ।

https://slotbet.online/