কবিরহাট নিউজ,
নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৬ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং, শুক্রবার, ১৮:৩০ অপরাহ্ন।
নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত দায়িত্ব ট্যাগ অফিসারের বিরুদ্ধে।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, গতকাল ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হলে, কামরুন নাহার শিউলী একরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের এক জন শিক্ষার্থী হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
ওই অসুস্থ পরীক্ষার্থী ২০ থেকে ৩০ মিনিট অজ্ঞান অবস্থায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পড়ে থাকলেও কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার হাসিবুল ইসলাম ওই অসুস্থ পরীক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি।
এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান কবিরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেবনাথ এবং সাথে ছিলেন কবিরহাট প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নুরআলম বিপ্লব।
এই পরীক্ষার্থীকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে সাংবাদিক নুর আলম বিপ্লব ঘটনাটির বিষয়ে ট্যাগ অফিসার হাসিবুল ইসলাম সাহেবের কাছে জানতে চান, এই অসুস্থ পরীক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য পরিক্ষা কেন্দ্রে কোন মেডিকেল টীম এসেছে কিনা বা, খবর দেওয়া হয়েছে কিনা?
কিন্তু ট্যাগ অফিসার হাসিবুল ইসলাম সাহেব উত্তেজিত হয়ে উচ্চস্বরে বলেন অসুস্থ পরীক্ষার্থীকে দেখা বা চিকিৎসা করানোর দায়িত্ব আমার নয়!
তিনি বলেন, এটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের দায়িত্ব।
পরে কেন্দ্রের হল সুপারের দায়িত্বে থাকা জয়নাল আবদীন সাহেব স্থানীয় চাপরাশিরহাট বাজার থেকে একজন ডাক্তার ডেকে এনে অসুস্থ পরীক্ষার্থী মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার দেব নাথ বলেন ঘটনার খবর পেয়ে আমি কবিরহাট থেকে মেডিকেল টীম পাঠিয়েছি।
কবিরহাট থেকে চাপরাশি হাট এর দূরত্বের কারণে সেখানে মেডিকেল টিম পৌঁছতে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় লেগেছে।
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর পরীক্ষার্থী কিছুটা সুস্থ হলে পুনরায় আবার পরীক্ষা দেওয়া শুরু করলেও প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় অসুস্থতার কারণে সে লিখতে পারেনি।
অভিযোগ উঠেছে ট্যাগ অফিসার হাসিবুল ইসলাম সাহেব যদি যথাসময়ে পরীক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন তাহলে এই পরীক্ষার্থীর ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় নষ্ট হতো না।
ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারানোর পর যে ২০-৩০ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে সে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় তাকে তাকে পুষিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরে সেটা পুষিয়ে দেওয়া হয়নি।
যেই কারণে ঐ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিকরা ট্যাগ অফিসার হাসিবুল ইসলাম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এটি তার দায়িত্ব নয় বলে ফোন কেটে দেন।
এর পর একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
কবিরহাট নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক।
https://slotbet.online/